সেলুলয়েডের ফিতায় বহুবার ধরা দিয়েছে স্বাধীনতা যুদ্ধের লোমহর্ষক, মর্মান্তিক ও বিজয় গাঁথা ,গল্প। ১৯৭১ সালের পর মুক্তিযুদ্ধের বহু সিনেমা বাণিজ্যিকভাবেও প্রদর্শিত হয়। তবে বিনিয়োগ ফেরত না আসার শঙ্কায় বাণিজ্যিক নির্মাতারা কমিয়ে দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা নির্মাণ। বিকল্পধারায় বেশকিছু সিনেমা নির্মিত হলেও তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানাতে সেগুলোও যথার্থ নয় বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা মুক্তি পায় ‘ওরা ১১জন’। এই সিনেমায় ১১ জনের ১০ জনই ছিলেন বাস্তবের মুক্তিযোদ্ধা। এরপর সংগ্রাম, আবার তোরা মানুষ হ, একাত্তরের যিশু, গেরিলা, জয়যাত্রা, আগুনের পরশমনি, আমার বন্ধু রাশেদসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা মুক্তি পায়।তবে একসময় বাণিজ্যিকধারার নির্মাতারা মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা নির্মাণ করলেও বর্তমানে কমেছে সেই সংখ্যা। তানভীর মোকাম্মেল ও সোহানুর রহমান সোহান বলছেন, বিনিয়োগ ফেরত না আসার শঙ্কায় বাণিজ্যিক নির্মাতারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করেন না।
তবে যেসব সিনেমা নির্মিত হয়েছে সেখানেও ব্যবহৃত হয়নি যথার্থ পোশাক কিংবা অস্ত্র। শঙ্কা রয়েছে আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা নিয়েও।এমন বাস্তবতায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস চলচ্চিত্রে তুলে ধরতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মনে করছেন সবাই।